দুই বাংলায় বেশ কয়েকটি ‘খানকা-শরীফ’ নামের প্রতিষ্ঠান আছে। বাউল, ফকির,
সুফী, আউলিয়াদের বসবাস ও দরবারের স্থানকে বলা হত ‘খানকা’। হিন্দু, মুসলিম,
পুরুষ, নারী, সবার জন্য সেখানে ‘অবারিত দ্বার’। এই বাউল-সুফীদের দর্শন
প্রচলিত ধর্মীয় সংগঠনের সমালোচনা করত, সমাজে বামুন-পুরুৎ ও মোল্লার
কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলত। ফলে তারা ওই দু’পক্ষেরই মারধোর, গালাগালির
পাত্র ছিল (এবং এখনও আছে)। (সমষ্টিগত) বামনাই, মোল্লাতন্ত্র আর শস্তা
পুরুষতন্ত্রের ঘোঁটে ‘খানকা’য় বসবাসকারী/ যাতায়াতকারী ‘খানকি’ (অথবা ‘খানকী’)-দের ‘দেহ-উপজীবি’ হিসেবে দাগানো শুরু হয়।
নাৎসিদের (তৃতীয় রাইখ্) প্রচারণা বিভাগের মন্ত্রী জোসেফ্ গোবেল বলেছিল –একটি মিথ্যেকে হাজারবার বলা হলে মানুষ তাকেই সত্যি বলে ভাবে। -তার একটি আদর্শ উদাহরণ এই ‘খানকি’ শব্দটি। যদিও এখনও আমরা স্থান বোঝাতে ‘এখানকার’/ ‘সেখানকার’ –জাতীয় শব্দগুলি ব্যবহার করে থাকি। আর প্রমিত ভাষা তাতে আপত্তি তোলে না। আরও একটু পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে, পুরুৎতন্ত্র বিরোধী চৈতন্য শুধু খুন হয়েই নিস্তার পান নি, ভাষার মাঝে তাঁকে ‘ন্যাকা চৈতন্য’ হিসেবে উপহাসের পাত্র বানিয়ে ফেলা হয়েছে। ‘বুদ্ধ’ হয়ে গেছেন ‘বুদ্ধু’! হতেও পারে যে ওই সময়ের পুরুৎদের বা সমাজেরও এইসব কর্মকাণ্ডের পেছনে কোনও বৈধ কারণ ছিল। কিন্তু, শব্দগুলির আরোপিত ইতরতা ঘুরপথে বামুন-মোল্লার কর্তৃত্বের কথা শোনায় না কি?
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি শব্দগুলির উৎসের দিকে না তাকাই (মহান সক্রেতিস, -ব্যুৎপত্তির শুদ্ধতা নয়, ব্যুৎপত্তির ইতিহাস এখানে বিচার্য্য), এই ভাষাগত ‘এক-ঝোঁকামি’ থেকে মুক্ত হই কোন পথে? আর কে না জানে –মানুষের ভাষা তার চিন্তাপদ্ধতিকে প্রভাবিত করে!
নাৎসিদের (তৃতীয় রাইখ্) প্রচারণা বিভাগের মন্ত্রী জোসেফ্ গোবেল বলেছিল –একটি মিথ্যেকে হাজারবার বলা হলে মানুষ তাকেই সত্যি বলে ভাবে। -তার একটি আদর্শ উদাহরণ এই ‘খানকি’ শব্দটি। যদিও এখনও আমরা স্থান বোঝাতে ‘এখানকার’/ ‘সেখানকার’ –জাতীয় শব্দগুলি ব্যবহার করে থাকি। আর প্রমিত ভাষা তাতে আপত্তি তোলে না। আরও একটু পিছিয়ে গেলে দেখা যাবে, পুরুৎতন্ত্র বিরোধী চৈতন্য শুধু খুন হয়েই নিস্তার পান নি, ভাষার মাঝে তাঁকে ‘ন্যাকা চৈতন্য’ হিসেবে উপহাসের পাত্র বানিয়ে ফেলা হয়েছে। ‘বুদ্ধ’ হয়ে গেছেন ‘বুদ্ধু’! হতেও পারে যে ওই সময়ের পুরুৎদের বা সমাজেরও এইসব কর্মকাণ্ডের পেছনে কোনও বৈধ কারণ ছিল। কিন্তু, শব্দগুলির আরোপিত ইতরতা ঘুরপথে বামুন-মোল্লার কর্তৃত্বের কথা শোনায় না কি?
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে যদি শব্দগুলির উৎসের দিকে না তাকাই (মহান সক্রেতিস, -ব্যুৎপত্তির শুদ্ধতা নয়, ব্যুৎপত্তির ইতিহাস এখানে বিচার্য্য), এই ভাষাগত ‘এক-ঝোঁকামি’ থেকে মুক্ত হই কোন পথে? আর কে না জানে –মানুষের ভাষা তার চিন্তাপদ্ধতিকে প্রভাবিত করে!
No comments:
Post a Comment