শিবের গীত

প্রসঙ্গ ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ প্রবাদ: আপনার-আমার কাছে যা ‘অপ্রাঙ্গিক’, স্থান-কাল পাত্র ভেদে তা-ই চূড়ান্তরকম প্রাসঙ্গিক।...... শশাঙ্কের যুগে সমতট ও কলিঙ্গের মত স্থানগুলি থেকে অনেকেই সমুদ্রপথে বালি, লম্বক ও সুমাত্রা প্রভৃতি দ্বীপে গিয়ে শৈবমত প্রচার এবং বহু সংখ্যক শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এই নব ঔপনিবেশিকতা বাঙালীর শক্তি বৃদ্ধিও করেছিল। তখন শিবের লিঙ্গ মূর্তি সব জাতীয় লোকে স্পর্শ করতে ও পূজা করতে পারতো। সে'সময় শিবপূজা ছিল সকলের কর্তব্য, এতে অধিকারী ও অনাধিকারীর ভেদ ছিল না। যে কেও ইচ্ছেমত জলে, ফুলে, বেলফলে শিব পূজা করতে পারতো। -এই উদার পদ্ধতি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের মধ্যে বেশ কিছুটা সমন্বয় সাধন করে। ধীরে ধীরে এ অঞ্চলের লোক এত বেশি শৈব মতবলম্বী হয়েছিল যে সকলে শিব পূজা করত। শিব কথা বলত, শিব গান গাইত এবং শিবের তত্ত্বকথা এমনভাবে সমস্ত বর্ণে প্রবেশ করেছিল যে, ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ এদেশের একটি প্রবাদ বাক্য হয়ে গিয়েছে।

No comments:

Post a Comment